কাবাডি খেলার আদি ইতিহাস ও নিয়ম কানুন


আপনার এতদিন বিভিন্নভাবে কাবাডি খেলাটি সম্পর্কে জানার ইচ্ছা হয়েছে। আসলে এটি খেলা বা অন্য কিছু এটি পিছনে ইতিহাস কি কিভাবে কাবাডি কি কোন নিয়ম কানুন বিশিষ্ট খেলা বা এটি কোন নিয়ম কানুনই নাই। আপনাদের এমন মনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জাগতে পারে খেলাটি সম্পর্কে। অনেকজন এই খেলার প্রতি আগ্রহ আজ কিন্তু তারা বিভিন্নভাবে সার্চ দিয়ে এবং খোঁজার চেষ্টা করেও তারা সঠিক।
কাবাডি খেলার আদি ইতিহাস ও নিয়ম কানুন


তথ্যটি পাননি। আজকেই আর্টিকেল কাবাডি বিষয় নিয়ে গঠিত। এ আর্টিকেলটির মধ্যে আজকে আপনাদের মনে যেসব বিষয়ে কাবাটি সম্পর্কে যত তথ্য জানার ইচ্ছা আছে আপনার আর্টিকেলটিতে সকল তথ্য পেয়ে যাবেন কাবাডি সম্পর্কে কাবাডি কিভাবে খেলা হয় এটি পিছনে ইতিহাস কি আরো ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের তথ্য এটি নিয়ম কানুন আপনার আর্টিকেলটির মধ্যে পেয়ে যাবেন।


ভূমিকা:

 এই কাবাডি খেলাটি কিভাবে আবিষ্কার হলো ভাইটি পিছনে ইতিহাস কি এই খেলাটি কিভাবে খেলা হয়ে থাকে এমন বিভিন্ন প্রশ্ন আছে আপনাদের মনে। এই কাবাডি খেলাটি একটি নিয়ম বিশিষ্ট খেলা এটাও অনেকেই জানেন না এই খেলায় বিভিন্ন ধরনের নিয়ম আছে। আজকে আর্টিকেলটি তা আপনার সকল কাবাটি বিষয়ের তথ্য পাবেন। আপনাদের বিভিন্নভাবে খোঁজার চেষ্টা করেছেন কাবাটি বিষয়ের তথ্য কিন্তু পাননি সঠিকভাবে আজকেই আর্টিকেলটি থেকে আপনার কাবাটি বিশেষ সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। আপনাদের যেসব জানার ইচ্ছা আছে আর্টিকেলটি মধ্যে কাবাডি সম্পর্কে বা আপনার এটা নিয়ম সম্পর্কে জানতে জানে আপনাদের এই আর্টিকেলটি মধ্যে সকল কিছু পেয়ে যাবেন।
এই আর্টিকেলটির মধ্যে যা যা থাকবে :
  • কাবাডি পিছনে ইতিহাস কি।
  • কাবারি কিভাবে খেলা হয়।
  • কাবাডি খেলার নিয়ম কানুন

কাবাডি খেলার আদি ইতিহাস ও নিয়ম কানুন

আমাদের দেশে কাবাডি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। এই খেলাটি বিশেষ করে গ্রামাঞ্ছলে অধিকতর জনপ্রিয় হওয়ায় একে গ্রাম বাংলার খেলাও বলা হয়। কোন কোন স্থানে কাবাডিকে আবার হা-ডু-ডু খেলাও বলা হয়। তবে এই খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও হা-ডু-ডু খেলার কোন সঠিক নিয়ম কানুন না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নিয়মে অনুষ্ঠিত হতো।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হা-ডু-ডু খেলাকে ’কাবাডি’ নামকরণ করা হয় এবং এই খেলাকে জাতীয় খেলার গৌরব জনক মর্যাদা দেয়া হয়। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এ্যামোচার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। এই ফেডারেশন কাবাডি খেলার উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। কাবাডি ফেডারেশন এই খেলার বিভিন্ন নিয়ম-কানুন তৈরি করে। ১৯৭৪ সালে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রথম কাবাডি টেষ্ট খেলে। আন্তজার্তিক পর্যায়ে এটিই প্রথম ম্যাচ। ১৯৭৮ সালে ভারতের মধ্য প্রদেশের লৌহ নগরী ভিলাইতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিগণে এক বৈঠকে এশিয়ান এ্যামেচর কাবাডি ফেডারেশন গঠন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মরহুম আবুল হাসনাত।

১৯৭৯ সালে ভারতে বাংলাদেশ বনাম ভারত ফিরতি কাবাডি টেষ্ট খেলে এবং ১৯৮০ সালে সফলভাবে প্রথম এশীয় কাবাডি প্রতিযোগীতা এই খেলাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তীতে সাফ গেমসও কাবাডি অন্তভুর্ক্ত করা হলে এ খেলার চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বর্তমানে কাবাডি জনপ্রিয়তার অনেকগুলি সিড়িঁ পেরিয়ে এগিয়ে চলছে আপন গতিতে। বিশেষ করে কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হওয়ায় এর গুরুত্ব বেড়েছে আরো অনেক বেশি। উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি খেলা কাবাডি। বর্তমানে এই খেলাটি আন্তর্জাতিকভাবেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কাবাডি সব বয়সের ছেলেমেয়েরা খেলে থাকে। বিশেষ উৎসব বা পালা-পার্বণে বেশ আড়ম্বরপূর্ণভাবে কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। পূর্বে কেবল গ্রামে কাবাডি খেলার প্রচলন দেখা গেলেও বর্তমানে সব জায়গায় কাবাডি খেলার প্রচলন আছে।

১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রæয়ারি মাসে কলকাতায় প্রথম এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে দিন যত যায় আস্তে আস্তে কাবাডি খেলা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

কাবাডি ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া [কেএফআই] ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের কাবাডি খেলা পরিচালনা কমিটির নাম পাকিস্তান কাবাডি ফেডারেশন।

বাংলাদেশে খেলাটি হা-ডু-ডু নামে পরিচিত এবং কাবাডির সঙ্গে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। হা-ডু-ডু খেলার এর কোনো নির্দিষ্ট নিয়মকানুন নেই। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নিয়মকানুন দিয়ে খেলা হয়। বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে কাবাডি খেলাকে অফিসিয়াল স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের অপেশাদার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়।

১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ইরানে কাবাডির স¤প্রদায় গঠিত হয় এবং একই বছর তারা এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনে যোগদান করে। এরপর ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে তারা আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনে যোগদান করে। ইরানে অপেশাদার কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয় ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে।

কাবাডি নেপালেরও অন্যতম জাতীয় খেলা। বেশিরভাগ নেপালিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালীন কাবাডি খেলা শিখতে হয়। কাবাডি ভারতীয়, বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি অভিবাসীরা যুক্তরাজ্যে নিয়ে এসেছিলেন। যুক্তরাজ্যের কাবাডির পরিচালনা কমিটির নাম ইংল্যান্ড কাবাডি ফেডারেশন যুক্তরাজ্য।

কাবাডি খেলার নিয়ম এবং কাবাডি কিভাবে খেলা হয়

মাঠ : কাবাডি খেলার বালকদের মাঠ লম্বায় ১২.৫০ মিটার এবং চওড়ায় ১০ মিটার। বালিকাদের কাবাডি খেলার মাঠ লম্বায় ১১ মিটার এবং চওড়ায় ৮ মিটার। খেলার মাঠের ঠিক মাঝখানে একটি লাইন টানা থাকে যাকে মধ্যরেখা বা চড়াই লাইন বলে। এই মধ্য রেখার দুই দিকে দুই অর্ধে দুটি লাইন টানা হয় যাকে বলা হয় কোল লাইন। মৃত বা আউট খেলোয়াড়দের জন্য মাঠের দুই পাশে ১ মিটার দূরে দুটি লাইন থাকে যাকে বলা হয় লবি
১ নং নিয়ম: খেলা শুরুর আগে দু’দলের অধিনায়কের উপস্থিতিতে রেফারি কয়েন দ্বারা টস করবেন। টস জয়ী অধিনায়ক কোর্ট পছন্দ বা বিপক্ষের কোর্টে রেইড করার যে কোন একটিবেছে নেবেন। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কোর্ট বদল হবে এবং যে দল প্রথমে রেইড করেনি তারা রেইড করার সুযোগ পাবে। প্রথমার্থে খেলা শেষে উভয় দলের যে একজন খেলোয়াড় বেঁচেছিল কেবল তারাই খেলায় অংশ নেবে। অর্থাৎ যারা আউট হয়ে সিটিং ব্লকে বসেছিল তারা আউট খেলোয়াড় হিসেবে বসে থাকবে।
২ নং নিয়ম: কোন খেলোয়াড় মাঠের বাউন্ডারির বাইরের ভূমি স্পর্শ করলে তাকে ’আউট’ বলে ধরা হবে। কিন্তু ষ্ট্রগলের সময় কোর্টেও বাইরের ভূমি স্পর্শ করলেও যদি তার শরীরের কোন অংশ সরাসরি সীমানার মধ্যে অবস্থিত কোন খেলোয়াড়কে বা ভূমি স্পর্শ করে তবে তিনি আউট হবেন না।
৩ নং নিয়ম: খেলা চলাকালে কোন এ্যান্ট্রি সীমানার বইরে চলে গেলে তিনি আউট হবেন। রেফারি বা আম্পায়ার তাকে তখনি কোর্টের বাইরে যেতে নির্দেশ দেবেন এবং জোরে তার নম্বর উচ্চারণ করে তাকে আউট ঘোষণা করবেন। তখন রেইড চলতে থাকলে এজন্য তিনি কোন বাশিঁ বাজাবেন না।
৪ নং নিয়ম: রেইড চলাকালে যদি কোন এ্যান্ট্রির শরীরের কোন অংশ কোর্টের বাইরের ভূমি স্পর্শ করে বা বাইরে চলে যায় এবং তিনি রেইডারকে ধরে ফেলেন তবে রেইডার আউট হবেন না। কোর্টের বাইরে চলে যাবার ফলে ঐ এ্যান্ট্রি আউট হবেন।
৫ নং নিয়ম: ষ্ট্রাগল শুরু হলে উভয় দিকের লবি খেলার মাঠের অন্তর্ভুক্ত অংশ হিসেবে গণ্য হবে। ষ্ট্রাগল শেষ হবার পর ষ্ট্রাগলে জড়িত খেলোয়াড়গণ নিজের কোর্টে প্রবেশের জন্য লবি ব্যবহার করতে পারেন।
৬ নং নিয়ম: রেইডার ’কাবাডি’ শব্দ জোরে উচ্চারণ করে ক্যান্ট দেবেন। যদি কাবাডি শব্দ উচ্চারণ না করে ক্যান্ট বা ডাক দেন তবে রেফারি বা আম্পায়ার তাকে নিজেরকোর্টে পাঠিয়ে সতর্ক করে দেবেন এবং বিপক্ষকে রেইড করার সুযোগ দেবেন। এমতাবস্থায় ফেরৎ যাওয়া রেইডারকে এ্যান্ট্রি দল তাড়া করতে পারবে না।
৭ নং নিয়ম: রেইডার বিপক্ষের কোর্ট স্পর্শ করার আগেই ক্যান্ট বা ডাক আরম্ভ করবেন। যদি ক্যান্ট বিলম্বে শুরু করে তবে রেফারি বা আম্পায়ার রেইডারকে নিজ কোর্টে ফেরৎ পাঠাবেন এবং সতর্ক করে দেবেন। এর ফলে বিপক্ষকে রেইড করার সুযোগ দেয়া হবে। এ অবস্থায়ও বিপক্ষ দল রেইডারকে তাড়া করতে পারবে না।
৮ নং নিয়ম: কোন রেইডারকে সতর্ক করে দেয়ার পরও যদি তিনি উল্লেখিত ৬ ও ৮ নং নিয়ম ভঙ্গ করেন তবে রেফারি বা আম্পায়ার বিপক্ষকে একটি পয়েন্ট দেবেন। তবে আইন অমান্যকারী রেইডার আউট হবেন না।
৯ নং নিয়ম: রেইডার বিপক্ষের কোর্ট পরপর তিনবার রেইড করবেন। পরপর তিনবার রেইড করার পরও যদি রেইডার কোন পয়েন্ট লাভ করতে না পারেন তবে বিপক্ষ একটি পয়েন্ট পাবে। ব্যার্থ রেইডের জন্য আম্পায়ার এই পয়েন্ট ঘোষনা করবেন এবং স্কোরশীটে চিহ্ন দিয়ে ধারাবাহিক ফলাফল রক্ষা করবেন। লোনা, বিরতির পর বা অতিরিক্ত সময়ের খেলায় এই ব্যর্থ রেইড গণ্য হবে না।
১০ নং নিয়ম: একজন রেইডার নিরাপদে কোর্টে ফেরার পর অথবা বিপক্ষের কোর্টে ধরা পড়ে আউট হলে বিপক্ষ দল সেকেন্ডের মধ্যে রেইড করবে। এভাবে খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেইড চলতে থাকবে।
১১ নং নিয়ম: যদি কোন রেইডার এ্যান্ট্রি দ্বারা ধরা পড়ে ষ্ট্রাগল করার পর নিজের কোর্টে নিরাপদে ফিরে আসতে পারে তবে বিপক্ষ দল তাড়া করতে পারবে না।
১২ নং নিয়ম: বিপক্ষের কোর্টে একসাথে একজন রেইডার রেইড করবেন। কখনোই একজনের অধিক হবে না। যদি একাধিক রেইডার একসাথে রেইড করে তবে রেফারি তাদের সকলকে নিজের কোর্র্টে ফেরৎ পাঠাবেন এবং এ কারণে তাদের রেইড কারা সুযোগ বাতিল করে বিপক্ষকে রেইড করার সুযোগ দেবেন। এ অবস্থায় রেইডারগণ কোন এ্যান্ট্রিকে ছুঁয়ে দিলে তা কার্যকরী হবে না। এ সময় রেইডারকে তাড়া করা যাবে না।
১৩ নং নিয়ম: একসাথে একাধিক রেইডার বিপক্ষের কোর্টে হানা দিলে রেফারি বা আম্পায়ার সতর্ক করে দেবেন। সতর্ক করার পরও এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে রেফারি বা আম্পায়ার প্রথম প্রবেশকারী রেইডার ছাড়া বাকি সবাইকে ’আউট’ বলে ঘোষনা করবেন। রেফারি রেইডারদেরকে সতর্ক করবেন।
১৪ নং নিয়ম: বিপক্ষের কোর্টে হানা দেয়ার সময় কোন রেইডার ক্যান্ট বা ডাক বন্ধ করলে তিনি আউট হবেন।
১৫ নং নিয়ম: রেইডার এ্যান্টির কোর্টে ধরা পড়লে এ্যান্টিগণ রেইডারকে অবৈধভাবে (নাক মুখ আটকিয়ে আহত হতে পারে এমন কৌশল অবলম্বন করে অথবা অন্যভাবে) আটকাতে পারবে না। এমন করলে রেইডার আউট হবে না বরং এ্যান্টিকে সতর্ক করে দেবেন।
১৬ নং নিয়ম: কোন রেইডার কোন এ্যান্টিকে অথবা কোন এ্যান্টি কোন রেইডারকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়ে কোর্টেও বাইরে ফেলে দিতে পারবে না। এমনি করলে রেফারি বা আম্পায়ার উক্ত খেলোয়াড়কে ’আউট’ ঘোষনা করবেন।
১৭ নং নিয়ম: রেইডারের সফল হানা শেষে মধ্য রেখা পার হয়ে নিজের কোর্টে না ফেরা পর্যন্ত যদি কোন এ্যান্টি রেইডারের কোর্টে হানা দেয়ার জন্য মধ্য রেখা পার হয়ে বিপক্ষের কোর্টের ভূমি স্পর্শ করেন তবে তিনি আউট হন এবং তিনি যদি কোন রাইডারকে নিজের কোর্টে ধরে রাখতে সাহায্য করেন বা ধরেন তবে সেই রেইডার আউট হবেন না বরং যে এ্যান্ট্রি রেইডারের কোর্ট স্পর্শ করবেন তিনি আউট হবেন।
১৮ নং নিয়ম: নিজের পালা ছাড়া কোন রেইডার রেইডার করতে গেলে রেফারি তাকে ফেরৎ পাঠাবেন এবং সতর্ক করে দেবেন। রেইডার পক্ষ একবার সতর্কিত হবার পরও যদি ইচ্ছাকৃত দ্বিতীয়বার এ রকম অপরাধ করে তবে রেফারি বিপক্ষ দলকে একটি পয়েন্ট দিতে পারেন।
১৯ নং নিয়ম: একটি দল যখন বিপক্ষ দলের সব খেলোয়ড়কে আউট করতে পারবে তখন একটি লোনা পাবে। এই লোনার দুই পয়েন্ট অতিরিক্ত হিসেবে ঐ দলের মোট পয়েন্টের সাথে যুক্ত হবে। লোনার পর পুনরায় খেলা শুরু হবে এবং সকল খেলোয়াড় ১০ সেকেন্ডের মধ্যে কোর্টে প্রবেশ করবে। যে দল কোর্টে প্রবেশ করতে দেরি করবে রেফারি তার বিপক্ষ দলকে একটি পয়েন্ট দান করবেন। এরপরও কোর্টে আসতে দেরি করলে রেফারি প্রতি ৫ মিনিট অন্তর বিপক্ষ দলকে একটি করে পয়েন্ট দিতে থাকবেন খেলার শেষ সময় পর্যন্ত।
২০ নং নিয়ম: রেইডারের বিপক্ষ কোর্টে বিপজ্জনকভাবে খেলা বা নিজ দলের নির্দেশ মোতাবেক খেলার জন্য রেফারি রেইডারকে সকর্ত করে দেবেন। এর পুনরাবৃত্তি ঘটলে বিপক্ষকে একটি পয়েন্ট প্রদান করবেন।
২১ নং নিয়ম: একজন রেইডারের শরীর বা ধর ছাড়া অন্য কোথাও ধরা যাবে না। এই নিয়মের ব্যাতিক্রম যিনি করবেন তিনি আউট হবেন। রেইডারকে ইচ্ছাকৃত বা ন্যায়ভাবে ধরা না হয় তবে আউট হবেন না।
২২ নং নিয়ম: খেলা চলাকালে কোন পক্ষের একজন বা দুইজন খেলোয়াড় অবশিষ্ট থাকে এবং অধিনায়ক যদি তাদেরকে আউট ঘোষণা করতে চান এবং পুরো দলকে কোর্টে নামাতে চান তবে বিপক্ষ দল আউট ঘোষণাকৃত খেলোয়াড়দের পয়েন্টসহ একটি লোনা পাবে।
২৩ নং নিয়ম: খেলোয়াড়গণ যে সিরিয়াল অনুসারে আউট হবে আবার সেই সিরিয়াল অনুসারে বিপক্ষের খেলোয়াড়দের আউট হবার পরিবর্তে কোর্টে প্রবেশ করবে।

আপনার আর্টিকেলটি থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারলেন।আশা করি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে বেশি বেশি করে পড়বেন এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২