বাস্কেটবলের ইতিহাস বাস্কেটবল খেলার নিয়ম
আপনাদের এতদিন বিভিন্নভাবে জানা ইচ্ছা হয়েছে যে বাস্কেটবল আসলে কি। বাস্কেট বল হলে একটি খেলা যা আপনাদের জানায় বিভিন্নভাবে ইচ্ছা। কিন্তু আপনার সঠিকভাবে খেলাটি জানতে পারছেন না বা খেলাটি কিভাবে খেলতে হয় এসব নিয়ম কানুন আপনার ভালো হবে জানতে পারছেন না।
আজকে আর্টিকেলে আপনারা বিভিন্ন সম্বন্ধে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারবেন। যে বাস্কেট ফল কিভাবে খেলতে হয় এটি নিয়মকানুন এটির পিছনে ইতিহাস কি। এ খেলাটি কিভাবে খেলতে হয় এবং থাকবে আরও তথ্য। আপনার আর্টিকেলটি থেকে সকল তথ্য খুঁজে পাবেন বাস্কেটবল সম্পর্কে।
ভূমিকা :
এই আর্টিকেলটিতে আরো যা যা থাকবে :
- বাস্কেটবলের ইতিহাস কি।
- বাস্কেটবল কিভাবে খেলতে হয়।
- বাস্কেটবলের নিয়মকানুন গুলো কি।
- বাস্কেট বল খেলতে কেমন জিনিসপত্র প্রয়োজন হয়।
বাস্কেটবলের ইতিহাস কি
বাস্কেটবল একটি দলগত খেলা, যেখানে মূলত পাঁচজন খেলোয়াড একটি আয়তক্ষেত্রাকার কোর্টে একে অপরের বিরোধিতা করে। খেলাটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য এই যে বিপক্ষ দলের ডিফেন্ডার হুপের মধ্য দিয়ে [যা একটি ১৮ ইঞ্চি (৪৬ সেমি) ব্যাসের ও দশ ফিট উচ্চতার ঝুড়ি, যা কোর্টের দুই শেষ প্রান্তে অবস্থিত] বাস্কেটবলটি [যা আনুমানিক ৯.৪ ইঞ্চি (২৪ সেমি) ব্যাস] নিক্ষেপ করা হয় ও বিপক্ষ দলটি তা প্রতিরোধ করে যাতে তাদের হুপে বাস্কেটবলটি না ঢোকে। যে দল সর্বাধিকবার বিপক্ষ দলের হুপে সর্বাধিকবার বলটি ঢোকায় সেই দল বিজয়ী বলে ঘোষিত হয়। একটি ফিল্ড গোলের মূল্য দুই পয়েন্ট, যদি না তিন-পয়েন্ট লাইনের পিছনে থেকে করা হয়, যখন এটির মূল্য তিন হয়। ফাউলের পর, সময়মতো খেলা বন্ধ হয়ে যায় এবং যে খেলোয়াড়কে ফাউল করা হয় বা টেকনিক্যাল ফাউল করার জন্য মনোনীত করা হয় তাকে এক, দুই বা তিনটি ওয়ান-পয়েন্ট ফ্রি থ্রো দেওয়া হয়। খেলার শেষে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দলটি জিতবে, কিন্তু স্কোর টাই হলে নিয়মানুবর্তিতা খেলার মেয়াদ শেষ হলে খেলার অতিরিক্ত সময় (ওভারটাইম) বাধ্যতামূলক করা হয়। খেলোয়াড়রা হাঁটার সময় বা দৌড়ানোর সময় (ড্রিবলিং) বা সতীর্থের কাছে দিয়ে বলকে বাউন্স করে, উভয়ের জন্য যথেষ্ট দক্ষতার প্রয়োজন হয়। অপরাধের ক্ষেত্রে, খেলোয়াড়রা বিভিন্ন ধরনের শট ব্যবহার করতে পারে - লেআপ, জাম্প শট বা একটি ডঙ্ক; প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে, তারা একটি ড্রিবলার থেকে বল চুরি করতে পারে, পাসে বাধা দিতে পারে বা শট ব্লক করতে পারে; হয় অপরাধ বা প্রতিরক্ষা একটি রিবাউন্ড সংগ্রহ করতে পারে, অর্থাৎ, একটি মিস করা শট যা রিম বা ব্যাকবোর্ড থেকে বাউন্স করে। বলটি ড্রিবলিং না করে পিভট পা তোলা বা টেনে নেওয়া, এটি বহন করা বা উভয় হাতে বল ধরে রাখা এবং তারপর ড্রিবলিং পুনরায় শুরু করা লঙ্ঘন।প্রতিটি পক্ষের পাঁচজন খেলোয়াড় পাঁচটি প্লেয়িং পজিশনে পড়ে। সবচেয়ে লম্বা খেলোয়াড় সাধারণত সেন্টার, দ্বিতীয়-লম্বা এবং শক্তিশালী হল পাওয়ার ফরোয়ার্ড, সামান্য খাটো কিন্তু বেশি চটপটে খেলোয়াড় হল ছোট ফরোয়ার্ড, এবং সবচেয়ে ছোট খেলোয়াড় বা সেরা বল হ্যান্ডলার হল শুটিং গার্ড এবং পয়েন্ট গার্ড, যারা আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক নাটক (প্লেয়ার পজিশনিং) পরিচালনার মাধ্যমে কোচের খেলা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। অনানুষ্ঠানিকভাবে, খেলোয়াড়রা ৩-অন-৩, ২-অন-২, এবং ১-অন-১ খেলতে পারে১৮৯১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের স্প্রিংফিল্ডে কানাডিয়ান-আমেরিকান জিম শিক্ষক জেমস নাইসমিথ দ্বারা উদ্ভাবিত, বাস্কেটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে দেখা খেলাগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ) জনপ্রিয়তা, বেতন, প্রতিভা এবং প্রতিযোগিতার স্তরের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পেশাদার বাস্কেটবল লীগ (ইউ.এস. কলেজ বাস্কেটবল থেকে বেশিরভাগ প্রতিভা এখানে যোগদান করেন)। উত্তর আমেরিকার বাইরে, জাতীয় লীগ থেকে শীর্ষ ক্লাবগুলি মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন করে যেমন ইউরোলিগ এবং বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আমেরিকা। ফিবা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ এবং পুরুষদের অলিম্পিক বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট হল খেলার প্রধান আন্তর্জাতিক ইভেন্ট এবং সারা বিশ্বের শীর্ষ জাতীয় দলগুলিকে আকর্ষণ করে। প্রতিটি মহাদেশ ইউরোবাস্কেট এবং ফিবা আমেরিকাপ এর মতো জাতীয় দলের জন্য আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।ফিবা মহিলা বাস্কেটবল বিশ্বকাপ এবং মহিলা অলিম্পিক বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ জাতীয় দলগুলিকে দেখায়৷ উত্তর আমেরিকার প্রধান লিগ হল ডাব্লিউ.এন.বি.এ. (এন.সি.এ.এ. মহিলা বিভাগ I বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপও জনপ্রিয়), যেখানে শক্তিশালী ইউরোপীয় ক্লাবগুলি মহিলাদের ইউরোলিগে অংশগ্রহণ করেবাস্কেটবল খেলাটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কম-বেশি জনপ্রিয়। ক্রিকেট-ফুটবলের দাপটে আমাদের দেশে বাস্কেটবল কিছুটা আড়ালে পড়ে গেলেও এর জনপ্রিয়তা একেবারে কম নয়। খেলাটির জন্ম ১৮৯১ সালে। ম্যাসাচুসেটসের স্প্রিংফিল্ডে অবস্থিত স্প্রিংফিল্ড কলেজটি সে সময় ইয়াং মেনস ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ট্রেনিং স্কুল বা সংক্ষেপে ওয়াইএমসিএ ট্রেনিং স্কুল নামে পরিচিত ছিল। ১৮৯০ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেমস নেইস্মিথ। এই নেইস্মিথই তাঁর শিক্ষার্থীদের জন্য আবিষ্কার করেছিলেন বাস্কেটবল খেলাটি। নেইস্মিথ তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৮ জনকে বেছে নিয়ে তাদের দুটি দলে ভাগ করেন। খেলাটির জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নিয়মও তৈরি করেছিলেন তিনি। বিবিধবাস্কেটবল খেলাটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কম-বেশি জনপ্রিয়। ক্রিকেট-ফুটবলের দাপটে আমাদের দেশে বাস্কেটবল কিছুটা আড়ালে পড়ে গেলেও এর জনপ্রিয়তা একেবারে কম নয়। খেলাটির জন্ম ১৮৯১ সালে। ম্যাসাচুসেটসের স্প্রিংফিল্ডে অবস্থিত স্প্রিংফিল্ড কলেজটি সে সময় ইয়াং মেনস ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ট্রেনিং স্কুল বা সংক্ষেপে ওয়াইএমসিএ ট্রেনিং স্কুল নামে পরিচিত ছিল।১৮৯০ থেকে ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেমস নেইস্মিথ। এই নেইস্মিথই তাঁর শিক্ষার্থীদের জন্য আবিষ্কার করেছিলেন বাস্কেটবল খেলাটি। নেইস্মিথ তাঁর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ১৮ জনকে বেছে নিয়ে তাদের দুটি দলে ভাগ করেন। খেলাটির জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নিয়মও তৈরি করেছিলেন তিনি।তবে প্রথম দিকে বাস্কেটবল কোর্টের জন্য নির্দিষ্ট কোনো মাপ ছিল না। বল হিসেবেও খেলোয়াড়রা ব্যবহার করতেন ফুটবল খেলার বল। কোর্টের দুই পাশে দেয়ালের সঙ্গে দুটি ফলের ঝুড়ি লাগানো থাকত। ওই ঝুড়িতে বল ফেলতে পারলেই একটি করে পয়েন্ট পাওয়া যেত।বাস্কেটবলের আদি নিয়ম-কানুনের মধ্যে কয়েকটি এ রকম ছিল- একজন খেলোয়াড় কোনো অবস্থাতেই বল নিয়ে দৌড়াতে পারবে না, সে যেই অবস্থান থেকে বলটি হাতে পাবে, সেই অবস্থান থেকেই এক হাত বা দুই হাতের সাহায্যে ছুড়ে দিতে হবে, খেলাটির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ মিনিট, তবে প্রথম ১৫ মিনিট পর ৫ মিনিটের একটি বিরতি পাওয়া যাবে, ঝুড়িতে বল ফেলার পর বলটি যদি আপনাআপনিই ঝুড়ি থেকে বেরিয়ে আসে, তবে সেটিকে গোল বলে গণ্য করা হবে না। নেইস্মিথের এক ছাত্র নতুন এ খেলাটির নাম প্রস্তাব করেছিলেন 'নেইস্মিথ গেম'। কিন্তু এ নামটি তাঁর পছন্দ ছিল না। তিনি বললেন, 'যেহেতু এ খেলাটিতে একটি বল এবং একটি বাস্কেট আছে, তাহলে এ খেলাটিকে আমরা বাস্কেটবল নামেই ডাকি না কেন'? আর এর পর থেকেই বাস্কেটবল নামে পরিচিতি পেয়ে যায় এ খেলাটি। ১৮৯৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কলেজে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এ খেলাটি।বাস্কেটবলের প্রথম বড় আসরটি বসে ১৮৯৮ সালে। খেলার নিয়মেও আসতে থাকে ছোটখাটো পরিবর্তন। আর এভাবেই ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বাস্কেটবল।
বাস্কেটবল খেলার নিয়ম এবং বাস্কেটবল কিভাবে খেলতে হয়।
বাস্কেটবলে কৌশল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভালো খেলার কৌশল দলকে জয় এনে দিতে পারে। এই খেলাটিতে, ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী উভয়ই অনেকগুলি সংমিশ্রণ রয়েছে।বাস্কেটবল একটি আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় খেলা। এটি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে: যারা খেলা দেখতে পছন্দ করে এবং যারা সরাসরি খেলায় অংশ নিতে পছন্দ করে। বাস্কেটবলের খেলাধুলার চেতনা অনুভব করার জন্য, আপনাকে এর নিয়মগুলি খুঁজে বের করতে হবেবাস্কেটবলে অপরাধ খেলার প্রধান অংশ, যা দলকে পয়েন্ট স্কোর করতে দেয়। খেলার সময়কাল চল্লিশ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে, প্রতিটি দল গড়ে প্রতিপক্ষের বলয়ে একশত আক্রমণ করে। বাস্কেটবলে, আক্রমণের জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প রয়েছে, তাদের মধ্যে ক্লাসিক কৌশল রয়েছে। প্রায়শই বেশিরভাগ বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার প্রকৃতি এবং সরাসরি ফলাফল সরাসরি রেফারিংয়ের মানের উপর নির্ভর করে। যে কোনো রেফারিকে অবশ্যই খেলার নিয়মগুলো ভালোভাবে জানা ও বুঝতে হবে। শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে, তিনি খেলোয়াড়দের ভুলগুলি সঠিকভাবে ঠিক করতে সক্ষম হবেন। । বাস্কেটবল খেলা প্রথম শুরু হয় আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে ১৮৮১ সালে। এ খেলার জনক হলেন আমেরিকার প্রিংফিল্ড ওয়াই এম.সি এ কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ডা. জেমস নেইস্মিথ। প্রথমে একদলে ১০/১৫ জন করে খেলায় অংশ নিত। ১৮৯৪ সাল থেকে ৫ জন করে একদলে খেলার নিয়ম চালু হয়। বাংলাদেশে প্রথম খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলগুলোতে যেমন- ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী, সেন্ট জোসেফ ও চট্টগ্রামের সেন্ট প্লাসিড এবং অন্যান্য মিশনারি স্কুলগুলোতে বাস্কেটবল খেলা শুরু হয়। এ খেলাতে প্রচুর দমের প্রয়োজন হয়।
বাস্কেটবল খেলতে কি সব জিনিস প্রয়োজন হয়ে থাকে।
সাধারণ তো বাস্কেটবল খেলতে বেশি জিনিসের প্রয়োজন হয় না। বাস্কেট বলে প্রয়োজন হয় একটি বল একটি বাস্কেট যে খেলোয়ার খেলবে তা তোর জুতা প্রয়োজন হয় কেন তাকে লাভ দিতে হয় বাস্কেট বল তুই বাস্কেট করার জন্য তাই জুতাও প্রয়োজন হয়ে থাকে। বাক্যের বল খেলতে প্রধানত বলটি দায়িত্ব প্রদান হয়। বাস্কেটবল খেলতে এসব জিনিস এই প্রয়োজন হয়। আপনি আর্টিকেলটিতে সব কিছু তথ্য পেয়ে যাবে।
আপনার আর্টিকেলটি থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারলেন।আশা করি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে বেশি বেশি করে পড়বেন এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url