ব্যাডমিন্টন খেলাটি আবিষ্কার নিয়ম-কানুন এবং তার ইতিহাস
আপনারা এতদিন বিভিন্নভাবে জানা ইচ্ছা হয়েছে যে ব্যাডমিন্টন খেলাটা কি খেলাটি কিভাবে আবিষ্কার হলো বা খেলাটি কিভাবে খেলা হয়ে থাকে। এই খেলাটির পিছনে ইতিহাস কি। এই খেলাটিতে কি কোন নিয়ম কানুন আছে বা এই খেলাটি কোন নিয়ম কানুন ছাড়াই খেলা হয়।
আজ থেকে প্রায় সোয়াশো বছর পূর্বে এই খেলার সূত্রপাত ঘটে। ইংল্যান্ডের গ্লুচেষ্টারশায়ার রাজ্যেও ব্যাডমিন্টন নামক গ্রামের ব্যাটেরডোর হলে ১৮৭৩ সালের একবৃষ্টি ভেজা দিনে এ খেলা হয়। এরপর থেকে এখানে নিয়মিত খেলা হত এবং উৎসুক দর্শকরা আগ্রহ সহককারে এই খেলা উপভোগ করত। এভাবে ধীরে ধীরে খেলাটি বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে ’ব্যাডমিন্টন এসোশিয়েশন’ গঠন করা হয়। জনপ্রিয়তা অব্যহত থাকায় ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ডের একটি পুরুষ ALL England Championship অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাডমিন্টন খেলায় সাধারণত ৩ টি গেইম ২১ পয়েন্ট দ্বারা ১টি ম্যাচ হয়ে থাকে। একটি সার্ভে একটি করে পয়েন্ট যুক্ত হয়। কোন পক্ষ ১টি র্যালি জিতলে তার পয়েন্টের সাথে একটি স্কোর যোগ হবে। সব মিলিয়ে ২০ পয়েন্ট হলে যে পক্ষ আগে ২ পয়েন্ট পেয়ে লিড নিবে সে পক্ষ জিতবে
মোট পাচটি পদ্ধতিতে ব্যাডমিন্টন খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এগুলো হচ্ছে :
পুরুষ একক
মহিলা একক
পুরুষ দ্বৈত
মহিলা দ্বৈত
মিশ্র
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়মাবলী
১) খেলার শুরুতে টসে বিজয়ী দল বা খেলোয়াড় পছন্দমতো কোর্ট নিতে পারবে বা প্রথমে সার্ভিস করতে পারবে। প্রতিপক্ষ সার্ভ রিসিভ করার মাধ্যমে খেলা শুরু করবে।
২) একক ও দ্বৈত খেলায় ২১ পয়েন্টের মোট তিনটি গেম অনুষ্ঠিত হয়।
৩) প্রথম গেমে জয়ী দল পরবর্তী গেমের শুরুতে সার্ভ করবে।
৪) দুইজনের পয়েন্ট সমান হওয়ার অবস্থাকে ডিউজ বলা হয়। এক্ষেত্রে যেকোনো এক দলকে দুই পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে খেলা শেষ করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্টের মধ্যে গেম শেষ করতে হবে।
৫) সার্ভিস করার সময় শাটল নেটে স্পর্শ করে প্রতিপক্ষের কোর্টে পৌছালে সার্ভিসটি সঠিক হিসেবে গন্য হবে।
৬) ম্যাচে পয়েন্ট ১১ তে পৌছালে ৬০ সেকেন্ডের বিরতি নেওয়া যায়। একটি গেম শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী গেমের শুরুতে ২ মিনিটের বিরতি নেওয়া যায়।
৭) একক ও দ্বৈত উভয় খেলাতেই কোনো পয়েন্ট না হওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়েরা কেউই নিজেদের সার্ভিস কোর্ট বদল করতে পারবে না।
৮) একক খেলায় সার্ভিসকারীর পয়েন্ট শুন্য বা জোড় হলে খেলোয়াড় ডান দিকের কোর্ট থেকে এবং বিজোড় হলে বাম দিকের কোর্ট থেকে সার্ভিস শুরু করবে। সার্ভার একটি র্যালি জিতলে এক পয়েন্ট পাবে এবং কোর্ট বদল করে সার্ভ করবে।
৯) দ্বৈত খেলায় সার্ভিসের সময় ডানদিকের খেলোয়াড় কোনাকোনিভাবে বিপক্ষ কোর্টে সার্ভিস করবে। খেলায় স্কোর জোড় হলে ডানের সার্ভিস কোর্ট হতে সার্ভ করতে হবে আর বিজোড় হলে বামের সার্ভিস কোর্ট হতে সার্ভ করতে হবে। সার্ভিং পক্ষ র্যালি জিতলে তখন একই সার্ভার কোর্ট বদল করে পুনরায় সার্ভিস করবে।
১০) সার্ভিস করার সময় সার্ভারের দুই পা অবশ্যই মাটিতে স্পর্শ করা অবস্থায় থাকতে হবে।
১১) নেট অতিক্রম করে কোনো খেলোয়াড় শাটলে আঘাত করতে পারবে না এবং খেলা চলাকালে কেউ র্যাকেট বা শরীরের কোনো অংশ দিয়ে নেট স্পর্শ করতে পারবে না।
১২) প্রতি গেম শেষে কোর্ট বদল করতে হবে।তৃতীয় গেমে ১১ পয়েন্ট হওয়ার পর কোর্ট বদল করতে হবে।
সকল বিষয় নিয়েই আজকে আর্টিকেল। আপনি এত বিভিন্নভাবে খুঁজেছেন এই খেলা সম্পর্কে কিন্তু এ খেলা সম্পর্কে কিছু জানতে পারিনি ভালো করে। কিন্তু আজকে আর্টিকেলটি থেকে আপনার খেলার সম্পূর্ণ ইতিহাসে খেলা কিভাবে আপনারা জানতে পেরে যাবেন।
ভূমিকা :
খেলাটি কি কিভাবে আবিষ্কার হয়ে থাকে ভাই খেলাটি কিভাবে খেলা হয় আপনার সকল কিছু জানতে পারবেন এই আর্টিকেলটির মধ্যে। আপনার বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছেন বিভিন্নভাবে সার্চ দিয়েছেন বিভিন্ন জিনিস পড়েছেন নিয়ে খেলা সম্পর্কে তথ্য বিস্তারিত কিন্তু আজকে আপনার সকল বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন আজকে আইপিএলটি থেকে। এখানে থাকবে ব্যাডমিন্টন খেলাটি কিভাবে খেলা হয় আবিষ্কার হয়েছিল এটা এটি নিয়ম কানুন কি এসব খেলা খেললে কি সব জিনিসপত্র প্রয়োজন হয় ইত্যাদি নিয়েই আর্টিকেল।
এই আর্টিকেলটির মধ্যে আপনারা যা যা পাবেন
এই আর্টিকেলটির মধ্যে আপনারা যা যা পাবেন
- ব্যাডমিন্টন খেলাটি কিভাবে আবিষ্কার হয়।
- .ব্যাডমিন্টন খেলাটি কিভাবে খেলা হয়।
- .ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম-কানুন কি।
- ব্যাডমিন্টন খেলতে কি সকল জিনিসপত্র প্রয়োজন হয়।
ব্যাডমিন্টন খেলাটি কিভাবে আবিষ্কার হয়
ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ সেনা অফিসারেরা ব্যাডমিন্টন খেলা উদ্ভাবন করেন। তাঁরা ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খেলা ব্যাটলডোর ও শাটলককে একটি নেট যুক্ত করে এই খেলা চালু করেছিলেন। ব্রিটিশ গ্যারিসন নগরী পুনায় এই খেলা বিশেষ জনপ্রিয় ছিল বলে এই খেলার অপর নাম পুনাই। ব্যাডমিন্টন খেলা আবিস্কারের সঠিক ইতিহাসআজ থেকে প্রায় সোয়াশো বছর পূর্বে এই খেলার সূত্রপাত ঘটে। ইংল্যান্ডের গ্লুচেষ্টারশায়ার রাজ্যেও ব্যাডমিন্টন নামক গ্রামের ব্যাটেরডোর হলে ১৮৭৩ সালের একবৃষ্টি ভেজা দিনে এ খেলা হয়। এরপর থেকে এখানে নিয়মিত খেলা হত এবং উৎসুক দর্শকরা আগ্রহ সহককারে এই খেলা উপভোগ করত। এভাবে ধীরে ধীরে খেলাটি বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ১৮৯৩ সালে ইংল্যান্ডে ’ব্যাডমিন্টন এসোশিয়েশন’ গঠন করা হয়। জনপ্রিয়তা অব্যহত থাকায় ১৮৯৯ সালে ইংল্যান্ডের একটি পুরুষ ALL England Championship অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাডমিন্টন খেলা কিভাবে খেলা হয়
ব্যাডমিন্টন খেলার পয়েন্ট হিসাবব্যাডমিন্টন খেলায় সাধারণত ৩ টি গেইম ২১ পয়েন্ট দ্বারা ১টি ম্যাচ হয়ে থাকে। একটি সার্ভে একটি করে পয়েন্ট যুক্ত হয়। কোন পক্ষ ১টি র্যালি জিতলে তার পয়েন্টের সাথে একটি স্কোর যোগ হবে। সব মিলিয়ে ২০ পয়েন্ট হলে যে পক্ষ আগে ২ পয়েন্ট পেয়ে লিড নিবে সে পক্ষ জিতবে
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম কানুন
ব্যডমিন্টন খেলার সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যে নিয়ম অনুযায়ী এই খেলা পরিচালনা করা হয়ে থাকে।মোট পাচটি পদ্ধতিতে ব্যাডমিন্টন খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এগুলো হচ্ছে :
পুরুষ একক
মহিলা একক
পুরুষ দ্বৈত
মহিলা দ্বৈত
মিশ্র
ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়মাবলী
১) খেলার শুরুতে টসে বিজয়ী দল বা খেলোয়াড় পছন্দমতো কোর্ট নিতে পারবে বা প্রথমে সার্ভিস করতে পারবে। প্রতিপক্ষ সার্ভ রিসিভ করার মাধ্যমে খেলা শুরু করবে।
২) একক ও দ্বৈত খেলায় ২১ পয়েন্টের মোট তিনটি গেম অনুষ্ঠিত হয়।
৩) প্রথম গেমে জয়ী দল পরবর্তী গেমের শুরুতে সার্ভ করবে।
৪) দুইজনের পয়েন্ট সমান হওয়ার অবস্থাকে ডিউজ বলা হয়। এক্ষেত্রে যেকোনো এক দলকে দুই পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে খেলা শেষ করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্টের মধ্যে গেম শেষ করতে হবে।
৫) সার্ভিস করার সময় শাটল নেটে স্পর্শ করে প্রতিপক্ষের কোর্টে পৌছালে সার্ভিসটি সঠিক হিসেবে গন্য হবে।
৬) ম্যাচে পয়েন্ট ১১ তে পৌছালে ৬০ সেকেন্ডের বিরতি নেওয়া যায়। একটি গেম শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী গেমের শুরুতে ২ মিনিটের বিরতি নেওয়া যায়।
৭) একক ও দ্বৈত উভয় খেলাতেই কোনো পয়েন্ট না হওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়েরা কেউই নিজেদের সার্ভিস কোর্ট বদল করতে পারবে না।
৮) একক খেলায় সার্ভিসকারীর পয়েন্ট শুন্য বা জোড় হলে খেলোয়াড় ডান দিকের কোর্ট থেকে এবং বিজোড় হলে বাম দিকের কোর্ট থেকে সার্ভিস শুরু করবে। সার্ভার একটি র্যালি জিতলে এক পয়েন্ট পাবে এবং কোর্ট বদল করে সার্ভ করবে।
৯) দ্বৈত খেলায় সার্ভিসের সময় ডানদিকের খেলোয়াড় কোনাকোনিভাবে বিপক্ষ কোর্টে সার্ভিস করবে। খেলায় স্কোর জোড় হলে ডানের সার্ভিস কোর্ট হতে সার্ভ করতে হবে আর বিজোড় হলে বামের সার্ভিস কোর্ট হতে সার্ভ করতে হবে। সার্ভিং পক্ষ র্যালি জিতলে তখন একই সার্ভার কোর্ট বদল করে পুনরায় সার্ভিস করবে।
১০) সার্ভিস করার সময় সার্ভারের দুই পা অবশ্যই মাটিতে স্পর্শ করা অবস্থায় থাকতে হবে।
১১) নেট অতিক্রম করে কোনো খেলোয়াড় শাটলে আঘাত করতে পারবে না এবং খেলা চলাকালে কেউ র্যাকেট বা শরীরের কোনো অংশ দিয়ে নেট স্পর্শ করতে পারবে না।
১২) প্রতি গেম শেষে কোর্ট বদল করতে হবে।তৃতীয় গেমে ১১ পয়েন্ট হওয়ার পর কোর্ট বদল করতে হবে।
ব্যাডমিন্টন খেলতে কি কি জিনিসপত্র প্রয়োজন হয়
ব্যাডমিন্টন খেলতে সাধারণত দুইটি ব্যাডমিন্টন একটি কর্ক একটি নেট ব্যাডমিন্টন কোর্সের দরকার পড়ে। দুইজন খেলোয়ার দুটি ব্যাডমিন্টন হাতে নিয়ে কয়েকটি দিকে আঘাত করে এবং একে অপরের দিকে কুড়ে মারে যে খেলোয়াড়ের প্রথমে কয়েকটি পরে তার বিরোধী দলের খেলোয়াড়টি এক করে পয়েন্ট পেয়ে যায়। আরে এইসব badminton খেলতে যেসব জিনিস প্রয়োজন হয় যেমন ব্যাডমিন্টন নেট এইসব দিয়েই সেই খেলোয়াড়েরা খেলে থাকে। এভাবেই তা ব্যাডমিন্টন এসব জিনিসপত্র দিয়ে খেলে থাকেন।আপনার আর্টিকেলটি থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারলেন।আশা করি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে বেশি বেশি করে পড়বেন এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url